মহাজোট ২৪৮, ঐক্যফ্রন্ট ৪৯ আসন: জরিপ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি)। সংস্থাটি এক জরিপের পূর্বাভাস দিয়ে বলছে, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৪৮টি আসনে জয়ী হতে পারে। অপরদিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পাবে ৪৯ আসন। বাকি তিনটি আসনে জয় পেতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

আরডিসিরি হয়ে এই জরিপ পরিচালনায় যুক্ত মার্কিন পরামর্শক ফরেস্ট ই কুকসেন বুধবার রাজধানীর স্থানীয় এক হোটেলে জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন। ভোটের মাত্র তিন দিন আগেই জরিপের ফলাফল জানাল আরডিসি।

নির্বাচনের ঠিক তিন দিন আগে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক ও অর্থনীতিবিদ ফরেস্ট ই কুকসেন। তিনি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর একজন পরামর্শকও।

আরডিসি বলছে, ভোটের মাসের শুরুতে ৯ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর দেশের ৫১টি সংসদীয় আসনে দুই হাজার ২৪৯ জন ভোটারের ওপর জরিপ চালিয়ে তারা এ পূর্বাভাস পেয়েছে।

কুকসেন বলেন, ‘আমরা আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি জরিপ চালিয়েছি। জরিপে ফলাফল বলছে, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট ২৪৮ আসন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৪৯ আসন ও অন্যান্য দল পাবে তিনটি আসন।’

‘আমরা যে জরিপ করেছি এতে দেখা যায়, ভোটারদের ৬০ শতাংশ সমর্থন করেন মহাজোটকে। বিএনপি-জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সমর্থন করেন ২২ শতাংশ ভোটার, জেপি ৪ শতাংশ, ১০ শতাংশ ভোটার এখনো অনিশ্চিত, ৩ শতাংশ ভোটার উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।’

জরিপের ফলাফল কতখানি বাস্তবসম্মত হতে পারে এমন প্রশ্ন রাখা হয় যুক্তরাষ্ট্রের এই গবেষকের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রথমত আমরা এই প্রক্রিয়া নিরপেক্ষভাবেই করার চেষ্টা করেছি। মূলত ভোট যে প্রক্রিয়ায় হয় সেটাই অনুসরণ করে এটা করা হয়েছে। আমরা জরিপের জন্য ভোটারদের কাছে ব্যালট পেপার দিয়েছি। সেই ব্যালটে তারা ভোট দিয়েছেন।’

‘শুধু তাই নয় ব্যালটে ভোট দিতে অস্বীকার করা ও বা ভোট দেওয়ার ইচ্ছা নেই, এমন প্রশ্নও যুক্ত করা হয়েছে। ফলাফলে দেখা যায়, ১ শতাংশ ভোটার ভোটার ভোট দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন।’

নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে এই জরিপ চালানো কতটা গণতন্ত্রসম্মত জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের এই অর্থনীতিবীদ বলেন, ‘এটা নতুন কিছু নয়, গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে নির্বাচনের আগে এ ধরনের জরিপের রেওয়াজ রয়েছে। তবে নির্বাচনের আগে এমন ভোট গণনা ও তা কার্যকর করা কঠিন।’